বর্তমান সময়ে মানুষের মানসিব চাপের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। বলা হয়ে থাকে মানসিক চাপ হচ্ছে সকল রোগের লক্ষণ। হৃদরোগ থেকে যেকোনো রোগের প্রধান কারণ। মানসিক চাপ বাড়লে তা চোখে, মুখে স্পষ্ট ফুটে ওঠে। কথায় রয়েছে, মনের ছাপ মুখে পড়ে।

আপনি যদি নিজের সমস্যা সম্পর্কে কিছু না বলেন, তবুও আপনার শরীরই জানান দেবে অনেক কিছুই। মানসিক চাপ বাড়লে শরীরে তার লক্ষণ দেখা দেয়। রাতে ঠিক করে ঘুম হয় না। বাড়ছে অনিদ্রার সমস্যা।

ক্লান্ত থাকার সত্ত্বেও মাঝরাতে বার বার ঘুম ভেঙে যায়। এ লক্ষণকে অবহেলা করবেন না। এর কারণে ওজনও বেড়ে যায়। এগুলোর পিছনে দায়ী মানসিক চাপ।

প্রচণ্ড পরিমাণে মাথার যন্ত্রণা:

টানা ঘুম দিয়েও মাথার যন্ত্রণা কমাতে পারছেন না? এ ঘন ঘন মাথা ব্যথা আদতে মানসিক চাপের লক্ষণ। এ সমস্যা তখনই দেখা দেয় যখন আপনি অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন।

অ্যাসিডিটির সমস্যা:

যদি আপনার পেটের সমস্যা না থাকে তাহলে এটাও কিন্তু মানসিক চাপের জন্যই ঘটে। কারণ পাচনতন্ত্র বিভিন্ন স্নায়ু দ্বারা মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত। তাই যখনই মানসিক চাপ বাড়ে তার প্রভাব পড়ে হজমের ওপর। এ সমস্যা ক্রমাগত চলতে থাকলে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠে ব্যথা:

অনেকেই ভাবেন যে শারীরিক পরিশ্রমের কারণে পেশিতে ব্যথা হচ্ছে। কিন্তু সেটা নয়। মানসিক চাপ বাড়লে অনেক সময় পেশিতে ক্র্যাম্প হয়।

শরীরে ক্লান্তি:

কাজে মন বসে না। কোনো কাজই ঠিক করে করা যায় না। কিছু সময়ের জন্য শরীরও আপনার মনের মতো ‘ফ্লাইট মোড’-এ চলে যায়। এ লক্ষণ সহজেই ধরা পড়ে ঠিকই কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ এটা উপেক্ষা করেন।